২০১৮ সালে প্রকাশিত অম্বলিকা গুহের এই বইটি মূলত দেখাতে চেয়েছে যে বাংলায় ১৮৬০ সাল থেকে ১৯৪৭ সালের ভেতর ধাত্রীবৃত্তি কীভাবে প্রচলিত দাইদের থেকে সরে গিয়ে পেশাদার ধাত্রী ও চিকিৎসকদের আধিপত্যপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছিল। এই গবেষণা দেখায় যে, জন্মদান চর্চা সংস্কারের জন্য উনিশ শতকের শেষ দিকের উদ্যোগগুলো কীভাবে মূলত ছিল ভারতীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক আচরণবিধির ঔপনিবেশিক সমালোচনার বিপরীতে পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত উপনিবেশিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির এক আধুনিকতাবাদী সাড়া প্রদান; বাঙালি নারীদের ‘নিম্ন’ অবস্থানও যে সমালোচনার এক স্পষ্ট দোহাই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। বিশ শতকে চিকিৎসায়নের পক্ষে এই বক্তব্য জাতি গঠনের প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পরিবার ও স্বাস্থ্যের প্রতি জাতীয়তাবাদী স্বীকৃতি দ্বারাও চালিত হয়েছিল। ধাত্রীবৃত্তির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ কীভাবে নারীদের প্রশ্ন, জাতীয়তাবাদ ও ঔপনিবেশিক জনস্বাস্থ্য নীতিমালা দ্বারা আকার পেয়েছিল, যার সবই দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী বছরগুলোতে বাংলায় একে অপরকে ছেদ করেছিল, সে বিষয়ে এই গবেষণা একটি ঐতিহাসিক বিশ্লেষণ হাজির করে।