রাবীন্দ্রিক বাতাবরণে অভ্যস্ত এক নন্দিত জীবনের অধিকারী ছিলেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সাদি মহম্মদ। এই শিল্পীর জীবন ছিল অত্যন্ত স্বচ্ছ, সাবলীল ও সাধারণ কিন্তু কাব্যিক। অসাধারণ সুরেলা কণ্ঠে তিনি গাইতেন। তাঁর দরাজ গলায় আবেগাপুত হতো আপামর শ্রোতা। চলনে, বলনে, বচনে, ভঙ্গিমায় ছিলেন এক শান্ত স্রোতস্বিনী নদীর মতন। সেই নদীতে শব্দহীন ঢেউ বয়ে যেত অনবরত। রবীন্দ্রসংগীতের সুর-লহরির এই মহান জাদুকর স্বেচ্ছামৃত্যুর মাধ্যমে হয়তো খুঁজে পেয়েছেন তাঁর স্বপ্নলোকের চাবি; অমৃতলোকের দ্রাক্ষাফল। কিন্তু আমরা হারিয়েছি এক কীর্তিমান সংগীতশিল্পী, সুরকার, সাধক, শিক্ষক, সংগঠক সাদি মহম্মদকে। যিনি তার সুরের ফল্গুধারায় সম্মোহিত করে রাখতেন লাখো দর্শক। সে দর্শকের মনেই ঝুলে রইল বিরাট এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন- কেন এমন বিদায়!
'তবু সে দেখিল কোন ভূত, ঘুম কেন ভেঙে গেল তার!' হয়তো জীবনানন্দ দাশের এই 'তবু'টাই মানবচরিত্রের সব কিছুর নিয়ামক।